স ম্পা দ কী য়

রাসেল এখনো কেন প্রাসঙ্গিক?

কাজল ঘোষ | মতামত
জুন ২১, ২০২৫
রাসেল এখনো কেন প্রাসঙ্গিক?

এই মুহূর্তে একজন যুদ্ধবিরোধী শান্তিবাদী দার্শনিকের কথা খুউব মনে পড়ছে। যিনি সমগ্র জীবন যুদ্ধবিরোধী কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেছেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ার জন্য রাজপথে নেমেছেন। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ১১ জন খ্যাতনামা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘রাসেল-আইনস্টাইন’ মেনিফেস্টো প্রণয়ন করেছিলেন। আইনস্টাইন, জুলিও কুরির মতো শান্তিবাদী খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। বলছি বার্ট্রান্ড রাসেলের কথা। তিনি বিশ্বাস করতেন, যুদ্ধ একটি বর্বরতা এবং মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর। 
দার্শনিক রাসেল পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষেও আজীবন লড়েছেন। তিনি মনে করতেন, মানুষের স্বার্থপরতা, লোভ এবং ক্ষমতা দখলের আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই যুদ্ধের জন্ম। বাস্তবতা হচ্ছে একজন রাসেলের বড্ড অভাব এখন পৃথিবীতে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এখন চলছে ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ। দুনিয়ার পরাক্রমশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরাইলের এই সংকটে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পুরো বিশ্বই শঙ্কিত, একটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না লেগে যায়? কিন্তু সব ছাড়িয়ে মানবজাতি কী দেখছে? কাতারে কাতারে মানুষের মৃত্যু। তা যেমনটা ঘটেছে পেহেলগামে। যেমনটা হচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজায়। বর্তমানে চলছে তেহরান-তেলআবিবে। লেবাসধারী একদল অমানুষ দিনের পর দিন দুনিয়ার নানা প্রান্তে যুদ্ধের নামে বিধ্বংসী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। বিবেকবান মানুষের এখনই সময় শান্তির জন্য লড়ার। বিশ্বব্যাপী অস্ত্রের ঝনঝনানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার। আমরা শান্তি চাই। একটি মানবিক পৃথিবীর জন্য লড়াইটা জারি রাখতে চাই।   
দেশের রাজনীতিতেও এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে যে ধরনের বিতর্ক, অনাস্থা, হতাশা এবং রাজপথে শক্তির মহড়া চলছিল নির্বাচনকে ঘিরে তার নিরসনে একটি বৈঠক ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে। লন্ডন বৈঠক সব অনিশ্চয়তায় দখিনা হাওয়া বয়ে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের হাই ভোল্টেজ বৈঠকের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের ধারণাপত্র ঘোষিত হয়েছে। দেশের জনগণ ফেব্রুয়ারির দিকে মুখিয়ে আছে, ভোটবঞ্চিত হতাশা কাটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক দেশ গঠনের দিকে সকল পক্ষই এগুবে- এমনটাই প্রত্যাশা।  

মতামত'র অন্যান্য খবর