প র্যা লো চ না

‘জাতীয় সনদ’-এর খসড়া রূপরেখা ও প্রস্তাবনা

শহীদুল্লাহ ফরায়জী | এক্সক্লুসিভ
জুন ২১, ২০২৫
‘জাতীয় সনদ’-এর খসড়া রূপরেখা ও প্রস্তাবনা

বিশ্ব ইতিহাসে বহুবার ‘জাতীয় সনদ’ বা ‘গণচুক্তি’র মাধ্যমে সমাজ পুনর্গঠনের নজির রয়েছে। যেমন:- দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ঋৎববফড়স ঈযধৎঃবৎ’ ছিল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে গণঐক্যের ঘোষণা, তিউনিশিয়ার জাতীয় সংলাপ ছিল ধর্মীয়-মৌলবাদ বনাম গণতন্ত্রের সমঝোতার পথ এবং ফ্রান্সের ‘জরমযঃং ড়ভ গধহ’ ছিল রাজতন্ত্র থেকে নাগরিকত্বে উত্তরণের নৈতিক ঘোষণা। 
এসব দৃষ্টান্তে দেখা যায়-গভীর সংকটকালে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে নতুন এক সামাজিক চুক্তি অপরিহার্য হয়ে ওঠে, বাংলাদেশে আজ সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থিত হয়েছে।


জাতীয় সনদ উৎসর্গ করা হবে-
তাদের প্রতি, যারা গত দেড় দশক ধরে দমন-পীড়ন, হত্যাযজ্ঞ, গুপ্তহত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের মুখোমুখি হয়ে পিছু হটেননি;
বরং নিষ্ক্রিয়তা ও আপসকামিতার অন্ধকার ছুড়ে ফেলে রাজনৈতিক মাঠে তীব্র বিস্ফোরকের জোগান দিয়েছেন এবং পরিশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন পুঞ্জীভূত ক্রোধে আগুন জ্বেলে ফ্যাসিবাদের মসনদ ছারখার করে দিয়েছেন। যারা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে বুক পেতে দিয়েছেন বুলেটের মুখে, যারা নির্যাতনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুর্বার গর্জনে রাষ্ট্রের নির্মম নিস্তব্ধতা ভেঙেছেন, 

 

প্রতিরোধের আগুনে নিজেদের সঁপে দিয়েছেন যারা-
সর্বোপরি সেই জনগণ, যারা বুকের তাজা রক্তে বৈষম্যবিরোধী প্রজাতন্ত্র নির্মাণের অভিপ্রায় ঘোষণা করেছেন, তারাই জাতীয় সনদের অনুপ্রেরণা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শ্রমজীবী, পেশাজীবী, ছাত্র-জনতা, প্রান্তিক মানুষ-সবাই মিলে প্রমাণ করেছেন, বীরত্ব কোনো শ্রেণির নয়, এটি মানুষের চেতনার শ্রেষ্ঠতম রূপ। এই গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ই জাতীয় সনদের নৈতিক ভিত্তি। ‘রক্তস্নাত গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবিধানিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘জাতীয় সনদ’ (ঘধঃরড়হধষ ঈযধৎঃবৎ) প্রণয়ন এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই রাজনৈতিক দলিল হবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিপরীতে গণমানুষের  ঐকমত্যের দলিল। এটি ভবিষ্যতের জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের রাজনৈতিক ও নৈতিক চুক্তি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিরতিহীনভাবে ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের ঐতিহাসিক কর্ম সম্পাদনে নিবেদিত আছেন। আমি শুধু ‘জাতীয় সনদ’ নিয়ে একজন নাগরিকের ভাবনা ও প্রত্যাশা তুলে ধরতে চেয়েছি। কারণ, এই সনদ হবে একটি রাজনৈতিক ও নৈতিক চুক্তি, যা কেবল রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশই করবে না, বরং গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি নতুন রাষ্ট্রবিনির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করবে। মূলত এটি একটি প্রজাতন্ত্রের ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যতের প্রস্তাবনা।
 

জাতীয় সনদের প্রস্তাবিত বিষয়বস্তুসমূহ:
১. স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারকে প্রজাতন্ত্রের দার্শনিক ভিত্তি ঘোষণা করা। সামাজিক অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ন্যায় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ঘোষণা করা।
২. ১০ই এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা।
৩. জনগণই সকল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উৎস এবং জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করা।
৪. বাঙালি জাতীয়তাবাদ-সহ সকল জাতিসত্তার স্বীকৃতি প্রদান করা।
৫. সকল ধর্মের সমান অধিকার ও মর্যাদার সুরক্ষা দেয়া।
৬. সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূল-কাঠামোর প্রতি প্রতিশ্রুত থাকা, রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা। রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি- মূলনীতির ভিত্তিতে পুনর্ব্যাখ্যা করা।
৭. সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার রূপরেখা প্রণয়ন করা
৮. নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো ও দায়িত্ব নির্ধারণ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থার স্থায়ী ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
৯. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংস্কার করা এবং বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনয়ন করা।
১০. সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা।
১১. আইনের শাসন ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা। রাজনৈতিক-নিপীড়ন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-সহ সমস্ত দমনমূলক আইন সংশোধন করা।
১২. নাগরিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ করা।
১৩. সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়া।
১৪. প্রতিরক্ষা বাহিনীর  গণতান্ত্রিকীকরণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় পরিচালিত করা। বাহিনীগুলোর মানবাধিকার ও সংবেদনশীলতা উন্নীতকরণ করা।
১৫. দলীয় ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত  গণমুখী পুলিশ কমিশন গঠন করা।
১৬. ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আন্তঃদলীয় সংলাপ ও মতৈক্যের রূপরেখা উপস্থাপন করা।
১৭. সাংস্কৃতিক দর্শন ও রূপরেখা প্রণয়ন করা।
১৮. মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণ ও উপস্থাপন করা।
১৯. জাতীয় দুর্যোগ এবং জরুরি অবস্থায়ও মানবাধিকার সুরক্ষার নীতিমালা প্রণয়ন করা। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থাকা।
২০. জাতীয় শিক্ষা ও নৈতিকতা নীতি-
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ন্যায়, সমতা, গণতন্ত্র, সহানুভূতি ও নাগরিকত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য এক নতুন নৈতিক শিক্ষানীতি সংযোজন করা।
২১. জেন্ডার ও লিঙ্গসমতা-নারী, রূপান্তরকামী ও অন্যান্য লিঙ্গপরিচয়ের মানুষের সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রের কাঠামো ও কর্মপরিধিতে লিঙ্গ-সংবেদনশীলতা যুক্ত করা।
২২. জলবায়ু, ন্যায়বিচার, পরিবেশ-একটি সংবেদনশীল ও পরিবেশ-বান্ধব রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার করা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রান্তিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
২৩. প্রযুক্তি ও গণতন্ত্র-ডিজিটাল সার্ভেইলেন্স এবং তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও তথ্য-অধিকার নিশ্চিত করার নীতিমালা প্রণয়ন করা।
২৪. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব-আদিবাসী, দলিত, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, প্রতিবন্ধী মানুষের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও রাজনৈতিক-প্রশাসনিক অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা প্রদান করা।
২৫. গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি-গণ-অভ্যুত্থান, আন্দোলন এবং শহীদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোকে জাতীয় স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করা।
উপরোল্লিখিত প্রস্তাবনার মাধ্যমে-সকল মানুষের রাষ্ট্র, সকল আকাঙ্ক্ষার রাষ্ট্র, সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র এবং সকল অংশীজনের অংশীদারিত্বভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে না পারলে আমাদের প্রাণের মাতৃভূমি চূড়ান্ত ঝুঁকিতে পড়বে, ইতিহাস আমাদেরকে অভিযুক্ত করবে।
 

জাতীয় সনদের ভূমিকা: দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
১. নৈতিক চুক্তির দর্শন (Moral Contract Theory): ‘জাতীয় সনদ’ হলো রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে একটি নৈতিকচুক্তি-এটি জড়ঁংংবধঁ-র ্তুঝড়পরধষ ঈড়হঃৎধপঃ’-এর আধুনিক পুনঃনির্মাণ। রাষ্ট্রের বৈধতা তখনই প্রতিষ্ঠিত হয় যখন তা জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে গঠিত হয়। এই সনদ সেই সম্মতির লিখিত দলিল।
২. এই সনদ একক দলের বা গোষ্ঠীর নয়, এটি জাতীয় যৌথ চেতনার প্রতিফলন। ঐধহহধয অৎবহফঃ বলতেন্ত্তুচড়বিৎ ধৎরংবং ড়হষু যিবৎব ঢ়বড়ঢ়ষব ধপঃ ঃড়মবঃযবৎ্থ এই দলিল সেই সম্মিলিত কর্মের দার্শনিক প্রতিচ্ছবি।
৩. ইতিহাস ও ন্যায়বিচারের মিলনবিন্দু,
ডধষুবৎ-এর ভাষায় বললে-এটি ‘জলঁংঃরপব’-এর সূচনা। যারা শহীদ হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের প্রতি জাতি এখানেই ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার প্রদর্শন করে। এই সনদ তাদের প্রতি জাতির ঋণস্বীকৃতি।
Reparative Justice-এর মূল দিকগুলো ন্যায় পুনঃপ্রতিষ্ঠার নৈতিক দায়। অন্যায়ের স্বীকারোক্তি ও অনুশোচনার মাধ্যমে সমাজের নৈতিক পুনর্গঠন জরুরি।
ডধষুবৎ-এর ভাষায় ্তুজবঢ়ধৎধঃরাব ঔঁংঃরপব’ মানে হচ্ছে-আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া। এটি অতীত ভুল শুধরে ভবিষ্যৎ ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রয়াস, যেখানে শুধুই অর্থ নয়, বরং সম্মান, স্বীকৃতি ও সামাজিক অবস্থান ফিরিয়ে দেয়াটাই ন্যায়ের পরিপূর্ণ রূপ।
৪. ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা-নিটশে’র ‘Recurrence’-এর আলোকে প্রতিটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এমন হওয়া উচিত, যেন আমরা তা অনন্তকাল পুনরাবৃত্তির জন্য বেছে নিতে পারি। এই সনদ সেই ইতিহাস, যা ভবিষ্যতের সামনে গর্বের সঙ্গে বারবার উপস্থাপনীয়।
৫. রাষ্ট্রীয় নৈতিকতা ও গণতান্ত্রিক নৈতিকতা- Rawls-Gi &ZyJustice as fairness’ ধারণাকে ভিত্তি করে বলা যায়-‘জাতীয় সনদ’ কেবল ক্ষমতার কাঠামো নয়, বরং ন্যায়ের নৈতিক কাঠামো গঠনের দলিল। রাষ্ট্রের কাঠামোকে ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্ম-বিচ্ছিন্ন রাখার প্রতিশ্রুতি, যাতে সব ধর্ম সমান মর্যাদায় টিকে থাকে কিন্তু রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ধর্মীয় পক্ষপাতমুক্ত হয়।
‘জাতীয় সনদ’ কেবল একটি রাজনৈতিক চুক্তি নয়-এটি ইতিহাস, ন্যায়, রক্তের উত্তরাধিকার এবং ভবিষ্যতের মধ্যে একটি নৈতিক সেতুবন্ধন। ‘জাতীয় সনদ’ একটি ঘোষণা, একটা দৃঢ় সংকল্প, একটি প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য এটা একটা পবিত্র উৎসর্গ।


‘জাতীয় সনদ’ প্রজাতন্ত্রের জন্য প্রতিশ্রুতি, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, জাতীয় ঐক্য ও নির্দেশনা ঘোষণা করবে। যেমন- 
১. প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Committed): মানুষের উপর প্রভুত্ব বিস্তারে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদীব্যবস্থায় রাষ্ট্র কখনো ফিরে আসবে না। প্রজাতন্ত্রকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রূপান্তর করে বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণ করাই হবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
২. দৃঢ়প্রতিজ্ঞ (Determined): শুধুমাত্র জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে, কোনো বাইরের শক্তি দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সংবিধানের দর্শন অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৩. জাতীয় ঐক্য (National Consensus): স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক শৃঙ্খলার মৌলিক নিশ্চয়তা হবে জাতীয় ঐক্য এবং সকল অপশক্তি মোকাবিলা করার প্রেরণা। জাতীয়তাবাদ এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জাতিসত্তার আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার নিশ্চিত করাই হবে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ।
৪. নির্দেশনা (Guided): ‘সাম্য’, ‘মানবিক মর্যাদা’ ও ‘সামাজিক সুবিচার’-এই ত্রয়ী দর্শনের ভিত্তিতে দেশজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করে এবং ১৯৭১ ও ১৯২৪-এর নির্দেশনায় পরিচালিত হওয়া।
‘জাতীয় সনদ’ সংবিধানের অংশ হবে-সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচনের মাধ্যমে। সংবিধান সংস্কার সভার দু’টি কাজ নির্ধারণ করতে হবে। একটি হলো- সংবিধানের সংস্কার করা, অন্যটি হলো- আইন তৈরি করা। একটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই তা করা সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে, ‘জাতীয় সনদ’ কোনো বিনামূল্যের উপহার নয়, বরং রক্ত দিয়ে অর্জিত সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষার অভিব্যক্তিস্বরূপ প্রজাতন্ত্রের একটি উজ্জ্বল মহৎকীর্তি।
 

লেখক: গীতিকবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
faraizees@gmail.com

এক্সক্লুসিভ'র অন্যান্য খবর