ইতিমধ্যেই যমুনায় জল গড়িয়েছে অনেক দূর। নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা, সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ, মানবিক করিডোর, বন্দর নিয়ে সরকারের ঘোলাটে অবস্থান, মব ভায়োলেন্স অব্যহত থাকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় ড. ইউনূসের সরকার। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার কঠোর বার্তা দিয়েছেন সরকারকে। তিনি সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। মানবিক করিডোর, বন্দরের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয় নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের বলে তিনি মত দিয়েছেন। মব ভায়োলেন্স নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। বিএনপি ইতিমধ্যেই নির্বাচন বিলম্বের প্রশ্ন তুলেছে। দৃশ্যত, বিএনপি ও নতুন দল এনসিপির মধ্যে চলছে ঠান্ডা যুদ্ধ। দু পক্ষই বেশকজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে।
অন্যদিকে, বিএনপি সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এনসিপি তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে। বাইরে তীব্র সমালোচনা, অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নেই এমন অনেক কাজে হাত দিয়েছেন বর্তমান উপদেষ্টা পর্ষদ। অথচ মূল কাজ হছে একটি সুষ্টু নির্বাচন আয়োজন। সে বিষয়ে ‘রা’ নেই। যতদিন দিন যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ড. ইউনূসের। সবশেষ, বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
নানামুখি আলোচনার মধ্যেই বৃহষ্পতিবার মানবজমিন খবর প্রকাশ করে, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। তার সামনে এর বিকল্প খুবই কম। পরিবর্তিত পরিস্থিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্ব কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। তিনি অভ্যুত্থানের নায়কদের যমুনায় তলব করে বলেছেন, তোমরা সংযত হও নইলে আমি পদত্যাগ করবো। এ খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তামাম দুনিয়ায় তোলপাড় চলছে। কী হচ্ছে আসলে যমুনার ভেতরে? তবে সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আপাতত পদত্যাগ নয় নতুন ভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন ড. ইউনূস। দেখার বিষয় সামনের দিনগুলোতে চলমান সঙ্কটের সুরাহা কিভাবে করেন।