কলকাতার চিঠি

হঠাৎ সীমান্তে পুশইন, নানা প্রশ্ন

পরিতোষ পাল | বিশেষ রচনা
মে ২৪, ২০২৫
হঠাৎ সীমান্তে পুশইন, নানা প্রশ্ন

যাহাই পুশব্যাক তাহাই পুশইন। ভারতের দিক থেকে পুশব্যাক আর বাংলাদেশের দিকে সেটাই পুশইন। ভারত ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটাই এখন ঘটে চলেছে। গত কয়েক মাস ধরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে। আর এই তল্লাশিতে হাজার হাজার সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে বলে ভারতের পুলিশ প্রশাসন দাবি করেছে। অবশ্য বিবিসি দাবি করেছে, এদের মধ্যে অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী মুসলমান রয়েছেন। অভিযোগ, কোনোরকম ঝাড়াই-বাছাই না করেই সমপ্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে কয়েকশ’ সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে কোনোরকম নথি  ছাড়াই পুশব্যাক করা হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দাবি করেছে, ৬ই মে থেকে ১৫ই মে’র মধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৩৭০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং চুয়াডাঙ্গা সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত ও জনবসতিহীন এলাকায় এই পুশইন চলছে। 
অতি সমপ্রতি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, শান্তিপুর ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ৭২ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করানো হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। বাকি ৪৪ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করানো হয়েছে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে। এদের মধ্যে অনেক  রোহিঙ্গা  রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসূতী গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে  সাত নারী ও চার শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বলে অভিযোগ। 
বিবিসি দাবি করেছে, ভারতের রাজস্থান থেকে ‘অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক ১৪৮ জনকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে আটক আরও ছয় শতাধিক ‘চিহ্নিত বাংলাদেশি’কে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। 
সর্বশেষ ২১শে মে ফেনী, কুলাউড়া ও পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে ৬৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে ফেনী সীমান্ত দিয়ে ৩৭ জনকে, পঞ্চগড়  সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে এবং কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে পুশইন করা হয়েছে। 


সামপ্রতিক সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন মাত্রা পেয়েছে। ঘন ঘন এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এই পুশব্যাক চালানো হচ্ছে। অবশ্য এ ব্যাপারে ভারত সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো টুঁ-শব্দটি করেনি। 
তবে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে সব সময় সোচ্চার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশরমা প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, ভারত সরকার এখন বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য “পুশব্যাক” নীতি গ্রহণ করেছে।
পুশব্যাকের ক্ষেত্রে ভারত অনেকটাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পদ্ধতি অনুসরণ করে চোখ বেঁধে আটক সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের শয়ে শয়ে মাইল পাড়ি দিয়ে অভুক্ত অবস্থায় রাতের অন্ধকারে নির্জন জায়গা দেখে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগের বিবরণ মিডিয়াতে উঠে এসেছে।তথ্য তল্লাশিতে জানা গিয়েছে, পুশব্যাক করাদের মধ্যে অধিকাংশই অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী ও শিশু। এমন কি  জাতিসংঘের শরণার্থী হাইকমিশনার কর্তৃক সুরক্ষিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 
দুই দেশের মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেভাবে পুশব্যাক প্রক্রিয়া চলছে তা আন্তর্জাতিক আইন, সীমান্ত প্রটোকল এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।


ভারতের একটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান বলেছেন, সীমান্ত বিরোধ, জনসংখ্যাগত উদ্বেগ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় জর্জরিত এই অঞ্চলে ভারত তার প্রতিবেশী কূটনীতিতে একটি বিতর্কিত নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যথাযথ প্রক্রিয়া, যাচাই বা কূটনৈতিক সমন্বয় ছাড়াই সন্দেহভাজন  অবৈধ অভিবাসীদের, যাদের  বেশির ভাগ বাংলাভাষী মুসলমান জোর করে বাংলাদেশে “পুশইন” অভিযান চালাচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলো কেবল অমানবিক বা বেআইনি নয়,  এগুলো আন্তর্জাতিক নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশেষ করে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির নির্লজ্জ লঙ্ঘন। অথচ এই সব চুক্তিগুলোর সবক’টিতেই ভারত স্বাক্ষরকারী দেশ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এই পুশব্যাক বা পুশইন প্রক্রিয়াকে মানবতাবিরোধী হিসেবে অভিহিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক গত ৯ই মে ভারতকে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠিয়ে এই পুশইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে,  এই ধরনের কর্মকাণ্ড জাতীয় নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত  এবং জনসাধারণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে। বাংলাদেশ আরও দাবি করেছে,এই ধরনের চাপ প্রয়োগ ১৯৭৫ সালের সীমান্ত পর্যালোচনার জন্য ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নির্দেশিকা, ২০১১ সালের সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করছে। 
বাংলাদেশের মতে, তারা যথাযথ যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রমাণিত যেকোনো ব্যক্তিকে দেশে ফেরত নিতে ইচ্ছুক এবং এই পদ্ধতি থেকে যেকোনো বিচ্যুতি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।


প্রশ্ন হলো ভারতের এই পুশব্যাক নীতি কি নতুন কোনো কৌশল? অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রকেশ নিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিতেই এই পুশব্যাক বাংলাদেশের আপত্তি সত্ত্বেও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে ভারত এই ধরনের পদক্ষেপ এবারই  প্রথমবারের মতো গ্রহণ করেছে তা মোটেই নয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা বাংলাদেশিদের আসা-যাওয়া দশকের পর দশক ধরেই চলছে। বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত অরক্ষিত সীমান্তের সুযোগ নিয়ে অনেকেই অভিবাসী হিসেবে ভারতে আসেন। আবার নির্দিষ্ট সময় পরে ফিরেও যান বাংলাদেশে। তবে সমপ্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, অবৈধভাবে আসা বাংলাদেশিরা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া আরও অভিযোগ, আদিবাসী ও উপজাতিদের বিয়ে করে বাংলাদেশিরা  স্থায়ীভাবে থেকে যাচ্ছে ভারতে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, এর ফলে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জনসংখ্যার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। 
তবে পুশব্যাক অভিযানের নামে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশিদের ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার প্রথা ১৯৯০-এর দশকে নিয়মিত হয়ে উঠেছিল। ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে  ভারত “অপারেশন পুশব্যাক” শুরু করে, যেখানে ১৩২ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে চিহ্নিত করতে মাথা ন্যাড়া করে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এই নিয়ে প্রবল আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ায়  কয়েক মাসের মধ্যেই তা স্থগিত করা হয়েছিল।


বিএসএফের মতে, তাদের অভিধানে পুশব্যাক বলে কিছু নেই। তারা তাই স্বীকারও করে না পুশব্যাকের কথা। 
অথচ অবৈধ বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্রক্রিয়া অনুযায়ী,২০২৪ সালে ২৯৫ জন বাংলাদেশিকে তুলে দেয়া হয়েছিল এবং এই বছর ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে গত ২২শে মে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেছেন, বর্তমানে মোট ২ হাজার ৩৬৯ জন বাংলাদেশির তালিকা প্রস্তুত আছে। এদের প্রত্যেককেই ফেরত যেতে হবে। এই নাগরিকদের অনেকের জেল খাটার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এদের ফেরত পাঠানোর জন্য তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা প্রয়োজন। কেউ কেউ সে জন্য ২০২০ সাল থেকে অপেক্ষায় রয়েছেন। পাঁচ বছর কেটে গেছে সেই অপেক্ষার। এরপর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশকে এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তিনি অবশ্য পুশব্যাকের কথা অনুল্লেখ রেখে আইনগত পদ্ধতির কথাই বলেছেন। 


আইনজ্ঞদের মতে, এই আইনি প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ এবং বাংলাদেশের অনুমোদনের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল।
সীমান্ত হত্যা ও অন্যান্য নাগরিক সমস্যা নিয়ে  দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা ভারতের মানবাধিকার সংগঠন বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিরীটি রায় জানিয়েছেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী, অবৈধ বাংলাদেশিদের আটক করার পর তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনের ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠাতে হয়। আদালতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া চলার পর যারা অভিযুক্ত হয় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে সাজা খাটা শেষ হওয়ার পর তাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা। কারাগারের ভাষায়, এই সব বন্দিদের “জানখালাস বন্দি” বলা হয়। তাদের ফেরত পাঠানোর আগে পরিচয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত বিবরণ পাঠাতে হয়। বাংলাদেশ এলাকাভিত্তিক অনুসন্ধানের পর অনুমোদন দিলেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব। যাদের ক্ষেত্রে অনুমোদন পাওয়া যায় না তাদের ভারতের কারাগারেই পচে মরতে হয়।    
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক বা পুশইনের  
কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই ভারতে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই পদ্ধতি চলে আসছে, যেটা আনুষ্ঠানিকভাবে কেউই স্বীকার করে না।
তার মতে, ভারত থেকে এভাবে পুশব্যাক করে দেয়া সম্পূর্ণই আইনবহির্ভূত কাজ।


ভারতের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক অধ্যাপক বলেন, এত সংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে ধরা পড়ছেন যে, এদের সকলকে কারাগারে রাখা অসম্ভব ব্যাপার। অখচ এদের দীর্ঘ মেয়াদে ভারতেও রাখা সম্ভব নয়। তার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ডিটেনশন সেন্টারে রেখে ছোট ছোট দলে তাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করার সহজ পদ্ধতি নেয়া হচ্ছে।
তিনি এই পদ্ধতিতে আইনের কোনো উলঙ্ঘন দেখছেন না। তার মতে, যারা ফেরত যাচ্ছেন তারা তো বাংলাদেশিই। ধরে নিচ্ছি, কাজের সন্ধানে বা বিপদে পড়ে তারা অবৈধ পথে ভারতে এসেছিলেন। সুতরাং তাদের নিতে বাংলাদেশের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।


বাংলাদেশের এক শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এইচ. এম. নাজমুল আলম অবশ্য বাংলাদেশের মিডিয়াতে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, ঢাকার চুপ করে থাকা উচিত নয়। ভারতের বাংলাদেশে মানুষ ঢোকানোর প্রচেষ্টার বিষয়ে নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভীতু চিঠিটি খুব একটা পর্যাপ্ত নয়। আমাদের যা প্রয়োজন তা হল সোচ্চার, কৌশলগত এবং বহুপক্ষীয় কূটনীতি। আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফোরামে এই বিষয়টি উত্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশের উচিত ভারতের কাছ থেকে এই অভিযানের বিষয়ে স্পষ্টতা দাবি করা। সরকারের উচিত প্রতিটি ঠেলে দেয়ার  ঘটনা নথিভুক্ত করা এবং সংরক্ষণ করা। সেই সঙ্গে ভারতকে জবাবদিহি করার জন্য আইনি উপায় অনুসন্ধান করা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পরিস্থিতি যেভাবে এগুচ্ছে তাতে পুশব্যাক বা পুশইন বিতর্ক আগামী দিনে আরও জটিল হতে পারে। তৈরি হতে পারে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার পরিস্থিতি। 

বিশেষ রচনা'র অন্যান্য খবর