আ ন্ত র্জা তি ক

ভারত-পাকিস্তান কি পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে?

মোহাম্মদ আবুল হোসেন | আন্তর্জাতিক
মে ১০, ২০২৫
ভারত-পাকিস্তান কি পারমাণবিক  যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে?

২০১৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শেষ বড় আকারে সামরিক অচলাবস্থার সময় হ্যানয়ে তার হোটেলে ঘুমিয়ে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। কিন্তু রাতের বেলা একটি জরুরি ফোনকল আসে। তাতে তার ঘুম ভেঙে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার স্মৃতিকথায় এর বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,  একজন ভারতীয় মন্ত্রী তাকে ফোন করেছিলেন। ওই মন্ত্রী তাকে বলেছিলেন, পাকিস্তান ভারতের ওপর পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পম্পেও দ্রুত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। পাল্টা তিনি বলেন, ভারতই তাদের দিকে পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত করছে। মাইক পম্পেও লিখেছেন, প্রতিপক্ষকে বোঝাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা তীব্র কূটনৈতিক তৎপরতা প্রয়োজন হয় তার। তিনি বুঝিয়েছিলেন যে, অন্য পক্ষ পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে না।


এখন আবার দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভঙ্গুর শান্তি ভেঙে পড়েছে। ২২শে এপ্রিল পেহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে দুই দেশই এরই মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ভারত ৬ই এপ্রিল মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু কাশ্মীরে সামরিক হামলা চালিয়েছে। তাতে পাকিস্তানের হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এতে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে মসজিদ ও বাড়িঘর। তবে ভারত বলছে এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আখড়া। ভারতের হামলার জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। তারা ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। ভারত অবশ্য তিনটি যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করেছে। এ থেকেই বোঝা যায় ওই রাতে দুই পক্ষের মধ্যে পুরোপুরি যুদ্ধ না হলেও কী তীব্র লড়াই হয়েছে। রাতে হামলা হওয়ায় এর কোনো পরিষ্কার ছবি বা ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত হয়। তখন দুই দেশ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের খুব কাছাকাছি ছিল। ফলে আতঙ্কটা ছিল খুব বেশি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয়েছিল। তিনি সেই রাতেই দুই দেশের কর্ণধার ও সেনাপ্রধানদের সঙ্গে ফোন-কূটনীতি চালান। এতে সফল হন। পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসে ভারত ও পাকিস্তান। তারপর কেটে গেছে ৬ বছর। আবার সামরিক সংঘাতে ভারত ও পাকিস্তান। এবার পাকিস্তানের কণ্ঠ আগের চেয়ে শক্তিশালী। তাদের অবস্থানও শক্ত। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ৭ই মে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন, তার দেশে যেসব মানুষকে ভারত হত্যা করেছে তার প্রতি ফোঁটা রক্তের হিসাব নেয়া হবে। আর তার অধীনস্থ নেতারা, বিরোধী দলীয় নেতারা তো আছেনই। রাতের অন্ধকারে হামলাকে ভারতের কাপুরুষোচিত হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। পার্লামেন্ট অধিবেশনে শেহবাজ শরীফ স্মরণ করিয়ে দেন- পাকিস্তান এরই মধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা একটি পারমাণবিক এবং প্রচলিত অস্ত্রের শক্তিধর দেশ। এর মধ্যদিয়ে তিনি কি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের হুমকি দিলেন! এখানে বলে রাখা ভালো যে, ছয় বছর আগের পৃথিবী বদলে গেছে। ভূ-রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ধারা বদলে গেছে আমূল। নিউ ইয়র্ক টাইমসে সাংবাদিক মুজিব মাশাল এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘এবার ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক মিত্র দেশের হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেছে। এশিয়ার এই অংশ এমনিতেও ঝুঁকিপূর্ণ। তিনটি দেশ এখানে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। তারা হলো- চীন, ভারত ও পাকিস্তান। এদের মধ্যে অস্ত্র সরবরাহের প্রবাহ বদলে  গেছে। ভারত ঐতিহ্যগতভাবে নিরপেক্ষ দেশ ছিল। এখন তারা স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বলয়ে ঢুকে গেছে। সেখান থেকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র খরিদ করছে। আরও অস্ত্র কিনছে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে। সেই সঙ্গে কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া থেকে সস্তা অস্ত্র কেনা। এই রাশিয়া শীতল যুদ্ধের সময় ভারতের মিত্র ছিল। ওদিকে আফগানিস্তান যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রাসঙ্গিকতা আর আগের মতো নেই। পাকিস্তান এখন আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনছে না। পাকিস্তান এখন ঝুঁকেছে চীনের দিকে। সেখান থেকে কিনছে তাদের অধিকাংশ অস্ত্র।’


পাকিস্তানে হামলা চালানোর পর চীন যে প্রক্রিয়া দিয়েছে তা তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। ভারতের হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে তারা। পাকিস্তানের পাশে থাকার কথা বলেছে। একই সঙ্গে তুরস্ক পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে। ফলে পাকিস্তানের শক্তি বেড়ে গেছে। এ অঞ্চলে ভারত, পাকিস্তান এবং চীন- এ তিনটি দেশের হাতেই পারমাণবিক অস্ত্র আছে। যদি পাকিস্তানকে চীন সামরিক সহায়তা দেয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না, বরং এমন সম্ভাবনাই বেশি। এ জন্য ভারত-পাকিস্তান যদি একটি সার্বিক যুদ্ধের দিকে যায়, তাহলে তা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। এমন হলে পাকিস্তান ও চীন মিলে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। যদি তা-ই হয়, তাহলে এই তিন দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের যুদ্ধ শুধু এ অঞ্চলকেই শেষ করে দেবে এমন না। বাকি বিশ্বকেও প্রভাবিত করবে। এমন অবস্থায় মুজিব মাশাল লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনকে মোকাবিলা করতে ভারতকে আশকারা দিচ্ছে। অন্যদিকে চীন নিজের বিনিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা বাড়িয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানে। একই সময়ে সীমান্তে জায়গা নিয়ে চীন আর ভারতের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই দুই দেশের সেনারা জড়াচ্ছে সংঘাতে। ডনাল্ড ট্রাম্প শুল্কযুদ্ধ শুরু করার পর দুই পরাশক্তি চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্মরণকালের মধ্যে খারাপ অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। 


এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর রাজনৈতিক চাপ ছিল। ২০১৬ সালে তিনি ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ১১ দিন পর পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের অংশে ‘জঙ্গিদের’ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার জন্য সেনা পাঠান। এরপর, ২০১৯ সালে, ভারত পাকিস্তানে জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালান। এতে ৪০ জন ভারতীয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ১২ দিন পরে এই হামলা চালানো হয়। ভারতের অনেকেই এবার আরও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। কারণ ২০১৯ সালের বোমা হামলার পর কাশ্মীরে সর্বশেষ আক্রমণটি ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এবং ১৯৮৯ সালে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে পর্যটকদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা ছিল এটা। কাশ্মীর নীতি থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য মোদির আরও শক্তিশালী উদ্যোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে তিনি এই অঞ্চলের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিল করে তার হিন্দু-জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের দীর্ঘকালীন উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন। তিনি বলেছেন যে, এটি শান্তি ও সমৃদ্ধি এনেছে। কিন্তু  কাশ্মীরের পেহেলগামে এই আক্রমণ সেই দাবিকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং এই অঞ্চলে সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এমন অভিযোগকে আরও জোরালো করে তুলেছে। ভারতীয় পুলিশ সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বাড়িঘর উড়িয়ে দেয়ার পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কিছু বিরোধী নেতা সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যরা এই অঞ্চলে পাঁচ লাখ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী থাকা সত্ত্বেও আক্রমণকারীদের (যাদের মধ্যে দুই পাকিস্তানি এবং একজন ভারতীয়) আক্রমণ করার সুযোগ করে দেয়ার নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এসব কারণে পেহেলগাম হামলার পরপরই নরেন্দ্র মোদি কথা বলেন মার্কিন  প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে। তখন ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের নেতারা ভারতের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন জানান। অনেক ভারতীয় কর্মকর্তার কাছে তা যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার ‘সবুজসংকেত’ বলেই মনে হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সংযম দেখাতে বলেছিল। মুজিব মাশাল লিখেছেন, এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক দৃশ্যপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন চোখে পড়ে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাৎক্ষণিকভাবে মোদির সঙ্গে কথা বলেননি। অথচ ওই সময় বিশ্বের এক ডজনের বেশি নেতার সঙ্গে মোদি  যোগাযোগ করেছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন হামলার এক সপ্তাহ পর। আর মোদি ও পুতিনের ফোনালাপ হয় আরও পরে। এই সময় চীন সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়। 


এর ফলে নতুন এক বিশ্বকাঠামো চোখে পড়ছে। একদিকে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে পাকিস্তান, চীন। যদি এমন অবস্থায় যুদ্ধ পুরোদমে শুরু হয় তাহলে ভারতের কাছে দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্র। আর পাকিস্তানের হাতে থাকবে চীনা অস্ত্র। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাকিস্তানে যেসব অস্ত্র আসতো, তার শতকরা ৩৮ ভাগ ছিল চীনের। কিন্তু শেষ চার বছরে তা বেড়ে এখন শতকরা প্রায় ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ভারতের শতকরা ৮০ ভাগ অস্ত্র এসেছিল রাশিয়া থেকে। তা সর্বশেষ চার বছরে কমে গেছে। এর সংখ্যা এখন শতকরা ৩৮ ভাগ। এখন ভারত বেশি অস্ত্র আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইসরাইলের কাছ থেকে। এ জন্যই ভারতের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ইসরাইল। 


২০১৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পরিবেশ বদলে গেছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন  সৈন্য প্রত্যাহারের পর থেকে পাকিস্তানের প্রতি আমেরিকার আগ্রহ এবং প্রভাব কম। আমেরিকা এবং ভারত অনেক ঘনিষ্ঠ। পাকিস্তানকে শাস্তি দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কাছে তদবির করে ভারত এই সুযোগ নিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই আমেরিকার পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং এখন চীনের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। চীন সরকার উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ওদিকে  ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যেই জটিল হয়ে উঠেছে বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি। চীনের কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। একটি সংঘাতের ক্ষেত্রে, ‘চীন কোন পক্ষ নেবে? আমাদের কূটনীতিকদের এটিই জিজ্ঞাসা করা উচিত’ এমনটা বলেছেন ভারতের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান এএস দুলাত।


ভারত-পাকিস্তানের এই সংঘাতের আরও একটি ঝুঁকি হলো, দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো ঝুঁকির মুখে। ভারত ১৯৬০ সালের সিন্দু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। পাকিস্তান ১৯৭২ সালে করা সিমলা চুক্তি বাতিল করার হুমকি দিয়েছে, যা বিতর্কিত সীমান্তকে আরও উত্তেজনায় ভরে তুলবে। পাকিস্তানের মন্ত্রীরা বলছেন, পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি প্রবাহকে ভিন্নদিকে সরানোর যেকোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ হিসেবে গণ্য হবে। এমন অবস্থায় এই উত্তেজনার শেষ কোথায়! তা কোটি টাকার প্রশ্ন! 

আন্তর্জাতিক'র অন্যান্য খবর