সাত মাস অতিক্রান্ত। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে। নট ও পটের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মাঠের অবস্থা বেহাল। দিন যত যাচ্ছে সন্ধ্যার পর নাগরিকদের আতঙ্ক তত বাড়ছে। খোদ রাজধানীর বহু এলাকায় অপরাধীরা স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে বেশ কিছু দৃশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা উদ্বেগ ছড়িয়েছে বহুমাত্রায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যরাতে নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। একইভাবে আরেকজন উপদেষ্টাও গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলার মধ্যেই পরিস্থিতির এমন অবনতি বিস্মিত করেছে অনেককেই। দেশ জুড়ে এখন চলছে কম্বাইন্ড অভিযান।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও কঠোর বার্তা দিয়েছেন সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। কোনো বাহিনীকে আন্ডারমাইন না করতে বলেছেন। দেশের সাধারণ মানুষ সরকার বুঝতে চায় না, তারা চায় দু’বেলা দু’মুঠো ভাত স্বস্তি নিয়ে খেতে আর রাতে শান্তিতে ঘুমাতে। তাদের এই স্বস্তি ও শান্তিটুকু নিশ্চিত না করতে পারলে যতই উচ্চমার্গীয় কথা বলা হোক রাষ্ট্রচিন্তা নিয়ে তাতে কাজের কাজ কিছু হবে বলে মনে হয় না। যারাই রাষ্ট্র পরিচালনায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের শপথ নিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি নাগরিক মাত্রেই অনুরোধ নিরাপত্তার বিষয়টি আরও কঠোরতা সহকারে দেখার।
ছাত্র তরুণদের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমের যাত্রা শুরু হয়েছে। কথায় আছে, শতফুল ফুটতে দাও। গণতন্ত্র বিকশিত হতে হলে বহু মত ও পথের মিলন হতে হয়। তারুণ্যের শক্তি রাজনীতিতে নতুন কিছু নিয়ে আসবে- এমনটাই প্রত্যাশা। সমপ্রতি এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেছেন, কেবল সাইনবোর্ড থাকলেই রাজনৈতিক দল হয়ে যায় না। প্রকৃত রাজনৈতিক দলের গণভিত্তি থাকে। নতুন দলটির আসল পরীক্ষা হবে যখন তারা নির্বাচনে বড় দলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। রেহমান সোবহানের বক্তব্য অনুযায়ী আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দলের যে আত্মপ্রকাশ সেটি কতোটুকু সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে।